এস. এম. রুবেল, মহেশখালীঃ
মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়িতে হচ্ছে সরকারের মেগা প্রকল্প গুলো। ধলঘাটায় বন্দর চালু হয়ে ইতিমধ্যে জাহাজ ভীড়েছে। ধলঘাটা মাতারবাড়ির উন্নয়ন প্রকল্পের বদৌলতে বদলে যাবে মহেশখালী। অথচ ভাগ্য বদলায়নি ধলঘাটা মাতারবাড়ির মানুষদের। যানবাহন চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়কটিতে বিগত ২৫ বছরে কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি।

জানা যায়, ধলঘাটায় ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (বেজা), সি পি পি গ্যাস লাইন, ধলঘাটা-মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এত উন্নয়ন যজ্ঞ চলমান থাকলেও ধলঘাটা প্রবেশ করতে রাস্তা গুলোর বেহাল দশা চোখে পড়বে। রাস্তা গুলো দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধলঘাটার নাছির মোহাম্মদ ডেইল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে কোন ইট সলিং নেই। এরপরে ইট দেখা গেলেও কবে সংস্কার হয়েছে তা কেউ জানে না। সংস্কারের অভাবে ছোট বড় গর্তে ভরপুর সড়কটি।

অপরদিকে উত্তর মহুরীঘোনা, দক্ষিণ মহুরী ঘোনা, পানির ছড়া, বনজামিরা ঘোনা, শরইতলা এলাকার রাস্তা গুলোতেও কোন ইট সলিং হয় নাই। দক্ষিণ সুতুরিয়া, সুতুরিয়া বাজার, সাপমারার ডেইল ইট সলিং হলে তা ব্যবহার অনুপযোগী বর্তমানে। জনদুর্ভোগ চরমে হলেও রাস্তা গুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেননি সংশ্লিষ্ট দফতর সহ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

সিএনজি চালক শফিউল আলম বলেন, ভাঙ্গা রাস্তার কারণে গাড়ি ঘনঘন বিকল হয়ে পড়ে। বড় বড় গর্তে গাড়ি আটকে যায়। যার ফলে যাত্রী নিয়ে চলাচলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনায় পতিত হতে হয়।

পথচারী রণধীর শীল নামে একজন বলেন, ধলঘাটার সবকিছু বদলে গেছে, বদলায় নাই রাস্তা। বৃষ্টি নামলে রাস্তা দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। অন্তত ইট সলিং এর ব্যবস্থা করা হলে ভালভাবে চলাফেরা করতে পারব।

ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালেহ আহমেদ জানান, রাস্তা পাকা না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ইতিপূর্বে অনেক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এমনকি বর্ষাকালে নৌকা নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

এই বিষয়ে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, রাস্তাটি বিভিন্ন দফতরে বারবার হাত বদলের কারণে সংস্কার করা হচ্ছে না। প্রথমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক করার কথা ছিল কিন্তু সেটিও করা হয়নি। তবে বর্তমানে জাইকারর অর্থায়নে রাস্তাটির কাজ করা হবে।

মহেশখালী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, প্রথমে আরসিআইপি এর একটি প্রজেক্টে রাস্তাটি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাই পরবর্তী ৫ ফুট উঁচু করে রাস্তা করার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে হয় নাই। তিনি আরো বলেন, জাপানি সংস্থা জাইকার একটা প্রজেক্ট থেকে রাস্তা করার কথা হচ্ছে। এটির জন্য আগামীকাল আমরা দেখতে যাব। এটার মাধ্যমে দ্রুত কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।

ভয়েস/আআ